মুসলিম আইনে বিবাহ
bdbiplob_muslim_marrige |
বিবাহঃ মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ হচ্ছে একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে সম্পাদিত একটি চুক্তি যার দ্বারা উভয়ের মধ্যে সম্ভোগ ও সন্তান লাভ চিরস্থায়ী ভাবে বৈধ করণ করা হয়।। সংজ্ঞার আনুষ্ঠানিকতায় যদিও বিবাহ কে একটি বিধানিক চুক্তি বলা হয়, তবুও প্রকৃতপক্ষে ইহা নিছক একটি চুক্তি নয়।
কারণ, যেকোনো চুক্তি সাময়িক কালের জন্য হতে পারে, কিন্তু বিবাহের চুক্তি যাবজ্জীবনের জন্য। এছাড়া প্রত্যেক চুক্তিতে পূর্বাহ্নেই প্রতিদান স্থির করা হয়। কিন্তু বিবাহের দেনমোহর যাকে এই চুক্তির প্রতি দান বলা হয় তা বিবাহের সময় স্থিরীকৃত না হলেও তা অসিদ্ধ হয় না। পরবর্তীকালেও তা স্থির করা যায়। এমনকি দেনমোহর প্রদান করা হবে না বলে স্থির করা হলেও বৈধ বিবাহের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।
আবার হিন্দু ও খ্রিষ্টান বিবাহের মতো এটা একটা ধর্মীয় সংস্কারও নয়। ধর্মীয় বিধানাবলির অন্তর্ভুক্ত না হলেও বিবাহকে ইবাদতের শামিল বলে গণ্য করা হয়। যাতে মানুষ অপবিত্রতা ও ব্যভিচার হতে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সমর্থ হয় তজ্জনই বিবাহ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে শুধু ধর্মীয় তাৎপর্যই নয়, সামাজিক তাৎপর্যও রয়েছে।
তাই বলা যায় যে মুসলিম বিবাহ -
১. শুধুমাত্র বিধানিক চুক্তি নয়, একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। অন্যান্য বিবাহ যাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলা হয় তার সাথে এটার পার্থক্য হচ্ছে যে, মুসলিম বিবাহ ইচ্ছাকৃত ভাবে ভেঙ্গে দেয়া যায় কিংবা স্বামীর মৃত্যুর পর তা ভেঙে যায়।
২. এর মধ্যে কর্তব্যবোধ ও ধর্মবোধ রয়েছে।
৩. যদিও সম্ভোগ ও সন্তান উৎপাদনই বিবাহের প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলা হয়, ইহা জীবনে শান্তি ও স্বস্তি বিধানে সহায়ক বলে গন্য করা হয়।
৪. ইহা কোন শর্ত সাপেক্ষ হয় না সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকরী হয়।
বিভিন্ন শ্রেণীর বিবাহ ঃ
সুন্নী আইনে বিয়ে তিন প্রকারের হতে পারে যথা,
১. সহি বা আইনসিদ্ধ। যে ক্ষেত্রে বৈধ নিয়ে সকল উপকরণ বর্তমান তা সহিহ বিয়ে।
২. ফাসিদ বা অনিয়মিত। যে ক্ষেত্রে কোন ত্রুটির কারণে বিয়েটি সম্পূর্ণ সিহিহ নয় আবার বাতিলও নয় তা ফাসিদ বিয়ে।
৩. বাতিল বা অসিদ্ধ। সুস্পষ্ট বাধা-নিষেধ লঙ্ঘন করে কোন বিয়ে হলে তা বাতিল বলে গন্য হবে।
২. ফাসিদ বা অনিয়মিত। যে ক্ষেত্রে কোন ত্রুটির কারণে বিয়েটি সম্পূর্ণ সিহিহ নয় আবার বাতিলও নয় তা ফাসিদ বিয়ে।
৩. বাতিল বা অসিদ্ধ। সুস্পষ্ট বাধা-নিষেধ লঙ্ঘন করে কোন বিয়ে হলে তা বাতিল বলে গন্য হবে।
শিয়া আইনে বিয়ে দুই প্রকারের যথাঃ
১. স্থায়ী ও সহিহ ২. অস্থায়ী বা মুতা।
বাতিল ও অনিয়মিত (ফাসিদ) বিয়ের মধ্যে পার্থক্য ঃ
বাতিল ও অনিয়মিত বা ফাসিদ বিয়ের মধ্যে নিম্নোক্ত পার্থক্য সমূহ বিদ্যমান ঃ
প্রথমতঃ বাতিল বিয়ে আইনের দৃষ্টিতে কোন বিয়েই নয় এবং এর ত্রুটি সমূহ স্থায়ী। যেমনঃ রক্ত সম্পর্কিত ও দুগ্ধ সম্পর্কিত বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ে করলে মুসলিম আইনে তা বাতিল বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে।
পক্ষান্তরে, যে সকল বিয়ে সম্পূর্ণরূপে বৈধও নয় কিংবা বাতিলও নয় সেগুলি অনিয়মিত বিয়ে। এগুলির ত্রুটি সাময়িক ও সংশোধন যোগ্য। যেমনঃ চারজন স্ত্রী বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম বার বিয়ে করলে তা অনিয়মিত বিয়ে হবে। কিন্তু যে কোন একটি তালাক দিলে আবার তা বৈধ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়তঃ বাতিল বিয়ে কোন প্রকার অধিকার ও দায় সৃষ্টি করে না। পক্ষান্তরে, অনিয়মিত বিয়েতে তা সৃষ্টি করে।
তৃতীয়তঃ বাতিল বিয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ স্থায়ী ধরনের কিন্তু অনিয়মিত বিয়ের ক্ষেত্রে এগুলি সামরিক ও অস্থায়ী ধরনের।
চতুর্থতঃ বাতিল বিয়ের ত্রুটি সংশোধনযোগ্য নয় বিধায় তা কখনও বৈধ করা যায় না অপরপক্ষে অনিয়মিত বিয়ের ত্রুটি সংশোধনযোগ্য বিধায় এগুলি দূর করলে বিয়ে বৈধ হয়ে যায়।
পঞ্চমতঃ বাতিল বিয়ে সন্তান-সন্ততি বৈধ নয় এবং তারা উত্তরাধিকার সহ কোন প্রকার আইনগত অধিকারের দাবিদার নয়, পক্ষান্তরে অনিয়মিত বিয়ের সন্তানাদি বৈধ এবং উত্তরাধিকার সহ সকল প্রকার আইনগত অধিকার পেতে হকদার।
ষষ্ঠতঃ অনিয়মিত বিয়ে একমাত্র সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত আছে শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে নেই সেজন্য বাতিল ও অনিয়মিত বিয়ের মধ্যে পার্থক্য শুধু সুন্নী আইনে বিদ্যমান শিয়া আইনে নেই।
মুসলিম আইনে বৈধ বিবাহের শর্তাবলী :
মুসলিম আইনে অনুসারে বিয়ে একটি দেওয়ানী চুক্তি যার ফলে স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাসের এবং তাদের সন্তান সমূহের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় মুসলিম আইনে বৈধ বিবাহের শর্তাবলী নিম্নরূপ :
হিজাব বা প্রস্তাবঃ বিয়ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পেশ করতে হবে সাধারণত বরের পক্ষ হতে কনের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় ।
১) কবুল বা স্বীকৃতিঃ বিয়ের এরুপ প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করতে হবে। প্রস্তাব ও স্বীকৃতি একি বৈঠকে হওয়া আবশ্যক।
২) সাক্ষীঃ দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান পুরুষ বা একজন পুরুষ দু'জন মহিলার সম্মুখে এরূপ প্রস্তাব ও স্বীকৃতি সম্পন্ন হতে হবে।
৩) সাবালকত্বঃ বর ও কনে উভয়কেই সাবালক হতে হবে। শরিয়া আইন মোতাবেক ১৫ বছর পূর্ণ হলে সাবালক ধরা হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া আবশ্যক।
৪) সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্নঃ বর ও কনে উভয়কে সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হতে হবে। শরিয়া আইন অনুসারে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও পাগল ব্যক্তির বিয়ে অভিভাবকদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায়। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত বিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৫) নিষিদ্ধ সম্পর্ক পরিহারঃ কোন পুরুষ কিংবা স্ত্রীলোক তার নিষিদ্ধ সম্পর্কের কোনো আত্মীয়কে বিয়ে করতে পারবে না। নিম্নবর্ণিত আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছেঃ
ক) কোন পুরুষ তার মাতা, মাতার মাতা, পিতা মাতা এবং এরূপ ঊর্ধ্বগামী সকল স্ত্রী লোককে বিয়ে করতে পারবে না।
খ) কোন পুরুষ তার কন্যাকে, কন্যার কন্যাকে এবং এরূপ নিম্নগামী সকল স্ত্রীলোককে বিয়ে করতে পারবে না।
গ) সহোদরা, বৈমাত্রেয়, বৈপিত্রেয় ভগ্নি কে কিংবা তাদের কন্যাকে কিংবা এরূপ কন্যার কন্যা এভাবে নিম্নগামী সকলকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
ঘ) ভ্রাতুষ্পুত্রী ভাগ্নি কিংবা তাদের কন্যা এবং এরূপ নিম্নগামী সকলকে বিয়ে করা যায় না।
ঙ) মাতৃকুল বা পিতৃকুল সম্পর্কের কারণে, চাচী, ফুফু খালা, মামী, পিতা-মাতার চাচী, ফুফু, খালা, মামী কে বিয়ে করা যায় না।
এগুলি ছাড়াও জ্ঞাতিত্ত্বের কারণে ও ধাত্রীতের কারণে কিছু কিছু বিয়ে সম্পর্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৬) মোহরানাঃ বর কর্তৃক কোনকে প্রদেয় মোহরানা বৈধ বিয়ের অন্যতম শর্ত। মোহরানা হচ্ছে অর্থ বা অন্য কোনো সম্পত্তি যা স্ত্রী স্বামীর নিকট হতে বিয়ের মূল্য স্বরূপ পাবার অধিকারী।
৭) রেজিস্ট্রেশনঃ ১৮৮০ সালের কাজী আইন বর্তমানে যা মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ নামে আখ্যায়িত এবং ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান অনুযায়ী বিয়ের কাবিন নামা বা চুক্তিপত্র কাজী বা নিকা রেজিস্টার কর্তৃক রেজিস্ট্রি করতে হবে। ইহা যদিও বাধ্যতামূলক তবুও এর অবর্তমান বিয়ে অবৈধ হবে না।
এ সকল উপাদান গুলি মধ্যে ইজাব,কবুল ও মোহরানা অপরিহার্য এবং অন্যান্য গুলি সম্পুরক।
ফাসিদ (অনিয়মিত) বিয়ের কারণঃ
নিম্নলিখিত কারণে একটি বিয়ে ফাসিদ বা অনিয়মিত বলে গণ্য হতে পারেঃ
১) সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হলে।
২) চার স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় পঞ্চম বিয়ে করলে সেই বিয়েটি ফাসিদ বিয়ে বলে গণ্য হবে।
৩) ইদ্দত পালন কারী মহিলার সাথে বিয়ে হলে।
৪) কোন মুসলমান পুরুষ পুতুল পূজারী কিংবা অগ্নি উপাসক নারীকে ধর্মান্তরিত না করে বিয়ে করলে তা ফাসিদ হিসাবে গণ্য হবে। তবে অন্য কিতাবিয়ার সহিত অর্থাৎ ইহুদি বা খ্রিস্টান রমনির সহিত বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায়।
৫) বেআইনি সংযোগ অর্থাৎ স্ত্রীর বর্তমানে স্ত্রীর বোনকে বিয়ে করলে তা ফাসিদ বিয়ে হিসেবে গণ্য হবে।
ফাসিদ বিয়ের আইনগত ফলাফলঃ
ফাসিদ বিয়ে কোনো ত্রুটির কারণে এরূপ গণ্য হয়ে থাকে যা স্থায়ী ত্রুটি নয় এবং সংশোধন করা যেতে পারে। সহবাস না হওয়া পর্যন্ত ফাসিদ বিয়ে আইনের দৃষ্টিতে কার্যকর হয় না। তবে সহবাসের পূর্বে বা পরে কথা বা আচরণের মাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটানো যায়। সহবাসের পর-
১) স্ত্রী নির্দিষ্ট বা যথাযথ মোহরানার মধ্যে যেটি কম তা দাবি করতে পারেন।
২) স্ত্রী ইদ্দত পালন করতে বাধ্য থাকে। তবে তালাক প্রাপ্ত হলে বা স্বামীর মৃত্যু হলে এরুপ ইদ্দতের মেয়াদ তিন মাস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৩) এরূপ বিয়ের সন্তান-সন্ততি বৈধ এবং পিতা মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে কিন্তু স্বামী স্ত্রী পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।
বৈধ বিয়ের আইনগত ফলাফলঃ
বৈধ বিয়ে আইনগত ফলাফল ফলাফল নিম্নরূপঃ
১) বৈধ বিয়ের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অধিকার ও কর্তব্যের সৃষ্টি হয়।
২) স্বামী স্ত্রীর সহবাস বৈধ এবং সন্তানাদি বৈধ বলে গণ্য হয়।
৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের মধ্যে উত্তরাধিকারের অধিকার সৃষ্টি হয়।
৪) বিয়ের সময় স্থিরকৃত শর্তাদি প্রচলিত আইনের পরিপন্থী না হলে তা অবশ্য পালনীয় বলে গণ্য।
৫) এরুপ বিয়ের দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কোন গোপন তথ্য প্রকাশ যোগ্য নয়।
৬) এরূপ বিয়ের ক্ষেত্রে স্ত্রী খোরপোষ পাবার অধিকারিণী হয়ে থাকে।
৭) বিয়ের সম্পর্কের কারণে নিষিদ্ধ পর্যায়ের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিয়ের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা স্বামী স্ত্রী উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অনিয়মিত বিয়ের আইনগত ফলাফলঃ
অনিয়মিত বিয়ের আইনগত ফলাফল নিম্নরুপঃঃ
১) অনিয়মিত বিয়ের ক্ষেত্রে সহবাসের পূর্বে আইনগত কোনো ফলাফলে উদ্ভব হয় না। সহবাসের পূর্বে তালাকের ইচ্ছা প্রকাশ করলেই বিষয়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
২) সহবাস হয়ে থাকলে স্ত্রী মোহরানা পাবার অধিকারী হন।
৩) সহবাসের পর বিয়ে বিচ্ছেদ হলে কিংবা স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী ইদ্দত পালন করতে বাধ্য থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে ইদ্দতের সময় সীমা তিন ঋতুকাল যথেষ্ট বলে গন্য হবে।
৪) এরুপ বিয়ের ফলে জন্ম গ্রহন কারি সন্তান সন্ততি বৈধ বলপ গন্য হবে। তারা পিতা মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।
৫) স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না।
বাতিল বিয়ের আইনগত ফলাফলঃ
বাতিল বিয়ের আইনগত ফলাফল নিম্নরূপঃ
১) বাতিল বিয়ে যেহেতু বিয়ে বলে গণ্য হয় না, এরূপ বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তান অবৈধ বা জারজ সন্তান হিসেবে গণ্য হবে।
২) স্বামী-স্ত্রী কোন পক্ষেরই অপরের উপর কোনো আইনগত অধিকার ও দায়িত্ব সৃষ্টি হয় না।
৩) এরূপ বিয়ের ফলে জন্মগ্রহণকারী সন্তানগণ পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হবে, তবে মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হতে কোন আইনগত বাধা নেই।
No comments